Author: Quiz Bangla

৫টি সাফল্যের গল্প, যা শুরু হয়েছিল ব্যর্থতা দিয়ে

বিশ্বের বেশির ভাগ সফল ব্যক্তির জীবনের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় যে তাঁরা আসলে খুব সহজেই এই সফলতার মুখ দেখেন নি। সফলতার দেখা পাবার জন্য তাদের অনেককেই কঠিন অগ্নিপথের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে এবং নানা রকম প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই সমাজে আজ তাঁরা তাঁদের অবদানের জন্য স্বীকৃত । এখানে এমনই পাঁচজন ব্যক্তির সাফল্যের কাহিনী জানাব যাদের শুরুটা হয়েছিল ব্যর্থতার সাথে , কিন্তু এই ব্যর্থতা তাঁদের কাউকে দমিয়ে রাখতে পারেনি বরং লক্ষ্য মাত্রা পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য তাদের প্রেরণা যুগিয়েছে। ১.আব্রাহামলিঙ্কন ১৮৬০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় সকল উদ্যোগেই আব্রাহাম লিঙ্কন ব্যর্থ হন। ১৮৩২সালে তিনি চাকরি হারান এবং সে সময় তিনি রাষ্ট্রীয় আইন পরিষদের জন্য অংশগ্রহণ করেন এবং পরাজিত হন। আব্রাহাম লিঙ্কন নিউ সারেমের একটি দোকানের অংশীদার ছিলেন ,যা ১৮৩৩ সালে ব্যর্থ হয়েছিল এবং তিনি অনেক বছর ধরে সেই দোকানের ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। ১৮৩৮ সালে তিনি স্থানীয় সরকার আসনের জন্য অংশগ্রহণ করেন এবং পরাজিত হন । পুনরায় ১৮৪৩ সালে তিনি কংগ্রেসের জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন । অবশেষে তিনি ১৮৪৬ সালে কংগ্রেসে নির্বাচিত হন , কিন্তু পুনরায় ১৮৪৮ সালে তিনি তার পদ হারান। এরপর ১৮৫৪ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে দুই বার পরাজিত হন এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের মনোনয়ন পেতেও ব্যর্থ হন। তবুও তিনি আরও একবার চেষ্টা করেন এবং ১৮৬০ সালে অবশেষে বহু কাঙ্ক্ষিত প্রেসিডেন্সি পদ জিতেনেন। ২। জে.কেরাওলিং সেরা বিক্রিত বইয়ের তালিকায় থাকা “হ্যারিপটার” বইটির লেখক হচ্ছেন জে. কে রাওলিং । গ্রাজুয়েট হওয়ার পর বেশ কিছু দিন...

Read More

কি হবে যদি গত ৩০ দিনের কোন সংবাদ থেকে আপনি দূরে থাকেন?

ধরুন, একটি জনশূন্য বনে হঠাৎ একটি গাছ ভেঙে পড়লো। তাহলে কি এটি কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনার সৃষ্টি করলো? না। এবার ভাবুন, সেই বন আর জনশূন্য নয়। সেখানে অনেক মানুষের বসতী আছে। আপনিও তাদের মধ্যে একজন। এবার কিন্তু গাছ ভেঙে পড়ার ব্যাপারটি একটি ঘটনায় বা দুর্ঘটনায় মোড় নিয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে মানুষ। মানুষ এ ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতে পেরেছে, গাছ ভেঙে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছে।তাই এটি একটি ঘটনা। কিন্তু ধরুন, আপনি শুনতে পাননি। কারণ আপনার বাড়িটি বনের একেবারে শেষ প্রান্তে। যখন আপনি সবার মাঝে ফিরে যাবেন, তাদের সাথে কথা বলবেন তখনই সেই গাছ ভেঙে পড়ার ব্যাপারটি জানতে পারবেন। সেই মুহূর্তে বনে গাছ ভেঙে পড়ার ব্যাপারটিই হবে প্রধান খবর। তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবে, যেমন: কার কি ক্ষতি হয়েছে, গাছ ভেঙে পড়ার পর তাদের কি করা উচিৎ ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন ভাবুন একবার, আপনি দূরে থাকা সত্ত্বেও কিন্তু এই সংবাদটি থেকে দূরে থাকতে পারেন নি। কোনো একটা সংবাদ বা খবর কখনো পুরোপুরিভাবে হাওয়া হয়ে যায় না। এর কিছু রেষ থেকেই যায়। তাহলে এবার আসা যাক, আপনি যদি গত ৩০ দিনের কোনো সংবাদ থেকে দূরে থাকেন তা হলে কি হতে পারে। প্রথমেই বলতে হবে আপনি অন্যদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকবেন। আপনি হয়তো চান সংবাদপত্রে প্রকাশিত রাজনীতি, খুন, রাহাজানি এসব সংবাদ থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, আপনি কি বালিতে মাথা ঢুকিয়ে চারপাশের ঘটে যাওয়া সব ঘটনাগুলো থেকে নিজেকেই নিজে বঞ্চিত করছেন না? এতে করে হয়তো আপনি নিজেই নিজের বিপদ ডেকে...

Read More

নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন? জেনে নিন এরও আছে বেশকিছু উপকারিতা

বহুকাল পূর্বে একজন গ্রীক মহাজ্ঞানীকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কোন জিনিসটি আপনার কাছে সব চাইতে কঠিন বলে মনে হয়? “তিনি উত্তরে বলেছিলেন, “নিজেকে জানা”। সত্যিই তাই। দেখুন তো একবার চিন্তা করে, আপনি যাকে আপন ভাবেন বা ভালবাসেন, তার কত কিছুই না আপনি জানেন। সে কি পছন্দ করে, কি অপছন্দ করে, তার মনের কোণে জমে থাকাকথা, তার প্রিয় রঙ, প্রিয় খাবার, প্রিয় জায়গা আরও কত কি! অথচ আপনি নিজেকে কতটুকু জানেন? আপনাকে হয়তো কেউএকথাজিজ্ঞেস করলে বলেই বসতে পারেন, “আমি নিজেকে চিনবো না তো কে চিনবে?”কিন্তু নিজেই একবার ভেবে দেখুন তো,নিজেকে জানার জন্য আপনি কতটুকু সময় দিচ্ছেন বা এমন কি ই বা করেছেন? ভাবছেন, এতক্ষণ যা লিখা হল তার সাথে লিখাটির নামের সাথে কি সম্পর্ক থাকতে পারে? প্রশ্নটি সত্যিই আসতে পারে। কারণ নিজেকে চেনা বা জানা আর নিঃসঙ্গতা কি এক জিনিস? না, এক জিনিস নয় এবং তা আমরা কখনো বলতেও চাই না। কিন্তু দুটোর মধ্যে একটি সূত্র কিন্তু অবশ্যই আছে। সেটি কিভাবে? বলছি। সাধারণত আমরা নিঃসঙ্গ তাকেই বলি যে কারও সাথে মিশে না বা মিশতে পারে না। অথবা যার বন্ধু বান্ধব কম। অথবা যে নিজেকে নিয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে।আর আমরা সবসময়ই এই নিঃসঙ্গতাকে মানুষের একটি নেতিবাচক দিক হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। কিন্তু এই নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্ব সবসময় যে খারাপই হবে তা কিন্তু নয়। মানুষ যখন নিঃসঙ্গ থাকে, তখন সে সবটুকু সময় নিজেকে দিতে পারে। নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পায়। যা কোনো ব্যস্ত মানুষ করতে পারে না। আর এটিই হল নিঃসঙ্গতার...

Read More

কেন আপনি বই পড়বেন?

আমরা অনেকেই আছি বই পড়তে ভীষণ রকম ভালবাসি। কারো কারো বই পরার এত তীব্র নেশা থাকে যে যেকোনো ভাল বই পেলেই তাকে আর বাস্তব জগতে খুঁজে পাওয়া যায়না। যাদের আমরা বইপোকা বলি। আবার কিছু মানুষ আছে যারা বই পড়ার নাম শুনলেই ভয় পায়। যারা খুব বই পড়েন তারা শুধু স্কুল কলেজের বই না আরও বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে সময় কাটান। আমাদের মধ্যে অনেকেই ছিলাম স্কুলে পড়ার বই এর মধ্যে গল্পের বই লুকিয়ে পড়তাম। এই বই পড়ার জন্য অনেকেই কত বকা খেয়েছেন, কত মার খেয়েছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই বই পড়ার উপকারিতা অসংখ্য। যারা নিয়মিত বাইরের বই পড়েন তাদের...

Read More

নিজের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হলে

জীবনেযখন একঘেয়েমি চলে আসে তখন যেকোনো কাজে সম্পূর্ণ মন দেয়টা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।চারপাশের বিশৃঙ্খলা, সমস্যা, উচ্চমানের চাহিদা জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারেএবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে। এগুলোই আপনাকে আপনার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিতে যথেষ্ট।আর তাই প্রয়োজন নিজেকে নিজের মধ্যে পুনরায় সংস্থাপন করা। এই মুহূর্তে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, “নিজেকেনিজেরমধ্যেপুনরায় সংস্থাপন কথাটির মানে কি?” সংস্থাপন বা রিসেট শব্দটি প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে শুনে থাকবেন। সেখানে রিসেট মানে হচ্ছে পুনরায় শুরু থেকে শুরু করা। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা বলছি মনের আবেগের ক্ষেত্রে নিজেকে পুনরায় সংস্থাপন করা। আপনিযখন চারপাশের সকলকিছুর চাপে চিড়েচ্যাপটা হয়ে যাচ্ছেন, তখন অন্য সবকিছু থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন।উপলব্ধি করুন আপনার অস্তিত্বের কথা। এখানে অন্য সকল কিছু বাদ দিয়ে আপনি শুধু ‘আপনাকে’নিয়েই চিন্তা করবেন। চিন্তা করুন কে আপনি?এটি হচ্ছে আপনার শুরুর জায়গা। এখান থেকে আবার নতুন করে শুরু করুন।এতে করে আপনি নিজের মধ্যে শক্তি ফিরে পাবেন।দেখবেন আপনি নিজের অস্তিত্ব অনুভব করতে সক্ষম হচ্ছেন। আজআমরাকিছু প্রক্রিয়ার নাম উল্লেখ করছি, যা আপনাকে নিজের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে বেশ সহায়তা করবে। ১।খুব কাছের বন্ধু বা সঙ্গীরসাথে খোলামেলা আলোচনা করুন মানুষের বন্ধু-বান্ধব অনেক পরিমাণে থাকে। কিন্তু কাছের মানুষ খুবই কম থাকে, যাদের সাথে সবকিছু অকপটে ভাগ করা যায়। মনে যখনই অস্বস্তি বোধ করবেন তাদের কাছে চলে যান। তাদের সাথেমন খুলে কথা বলুন। তাদের পরামর্শ নিন। কিছু কিছু সময় আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যখন আমাদের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা সাময়িকভাবে হারিয়ে যায়। দেখবেন, যখনই কাছের মানুষের সাথে মন খুলে...

Read More