“Be positive”, এ কথাটি কম বেশি সবাই শুনেছেন এবং কম বেশি আপনিও অন্যদের বলে থাকেন। কারণ, যেকোনো কাজ ইতিবাচকভাবে করতে না পারলে তা ভাল ফল এনে দিতে পারে না। তাই আমরা সবাই ইতিবাচক হবার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাই। কিন্তু তারপরও কি যেন একটা আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরে রাখে। আর তা হচ্ছে ‘নেতিবাচক’ চিন্তা।
আমরা যখনই কিছু একটা করার জন্য উদ্যোগ নিয়ে থাকি, সেখানে কিছু না কিছু নেতিবাচক চিন্তা এসেই থাকে। আর এই সামান্যতম নেতিবাচক চিন্তাও আমাদের উদ্যোগে কিছুটা হলেও বাধা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিৎ এই নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখা। কিন্তু কিভাবে? এতো আর বললেই চলে না। হ্যা, এখানেই সমস্যা। কিন্তু আপনি যদি এই নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে ‘না’ বলতে শিখতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই একে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখা সম্ভব।
চলুন, এমনই কিছু জিনিস জেনে নেয়া যাক যা নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে কিছুটা হলেও দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।
১। লক্ষ্য স্থির করুন যা আপনার আয়ত্তাধীন
এমন অনেকেই আছেন যারা লক্ষ্য স্থির করার সময় এত বড় লক্ষ্য স্থির করে ফেলেন যে, তা পূরণ করা সত্যিকার অর্থেই হয়ে ওঠে না। আর এই ধরণের লক্ষ্যের কোনো ফলও পাওয়া যায় না। তাই এমনভাবে লক্ষ্য স্থির করুন যা আপনার আয়ত্তাধীন।
২। সমস্যাগুলোকে চ্যালঞ্জে রূপান্তরিত করুন
আপনি প্রায়শই যেসব নেতিবাচক চিন্তাগুলো করে থাকেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। তারপর সেগুলো নিয়ে ভাবুন যে এগুলোকে কিভাবে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাওয়া যায়। যেকোনো সমস্যাকে নেতিবাচক দিকে না দেখে সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। ভাবুন, এই সমস্যাকে আপনি কিভাবে সমাধান করে একে ইতিবাচক দিকে পরিবর্তন করা যায়।
৩। শুরুতেই কোনোকিছুতে ‘না’ বলবেন না
এমন মানুষের অভাব নেই যারা তাদের চিন্তার বাইরে কোনো কাজ করতে রাজি নয়। যেখানেই সামান্যতম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সেখানে তারা কখনো পা বাড়ায় না এই ভয়ে যে তারা সেই সমস্যার সমাধান করতে ‘পারবে না’। তাই তাদের মুখে সবসময় ‘না’ শব্দটিই শোনা যায়। কিন্তু আপনি যখন শুরুতেই কোনো কিছুকে ‘না’ বলে এড়িয়ে যান, এর মানে হচ্ছে আপনি আপনার সফলতার পথে বেশি কিছুটা পিছিয়ে গেলেন। তাই কোনো সমস্যা এলেই তাকে ‘না’ বলে দূরে সরিয়ে দেবেন না। আগে সমস্যাটিকে পর্যবেক্ষণ করুন, সেটি সমাধানের কোনো উপায় আছে কিনা তা খুঁজে বের করুন।
৪। হাত জাগিয়ে তুলুন
হরহামেশাই স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটির ক্লাসগুলোতে দেখা যায় যে, শিক্ষক কোনো প্রশ্ন করলে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরাই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে চায় না। অথচ তারা উত্তরটি জানে। তারা বেশিরভাগ সময়ই হাত তুলে বলতে পারে না যে এই প্রশ্নের উত্তর তারা জানে। আর এই অভ্যাসটিই তাদের আত্মবিশ্বাস তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে। তাই যখনই দেখবেন কোনোকিছু আপনার আয়ত্তের ভিতর চলে এসেছে, তখন তাকে সাগ্রহে গ্রহণ করুন। হাত তুলে জানান দিন যে আপনি প্রস্তুত। আর তখনই দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস কিভাবে বেড়ে গিয়েছে।
৫। প্রতিদিন নিজেকে অটোসাজেশন দিন
নিজেকে সবসময় ইতিবাচক সাজেশন দিন। বলুন, আমি যা করছি তা সকলের মঙ্গলের জন্য করছি; আমি আমার সকল কাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করব; আমি কারও ওপর কারণ ছাড়া কখনো রাগ করব না; আমি কোনো কাজ পরে করব বলে ফেলে রাখবো না। প্রতিদিন এধরণের অটোসাজেশন দিন নিজেকে। এগুলো মানুষের মনকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইতিবাচক দিকে ধাবিত করবে।
‘না’ কে না বলা মোটেই কঠিন কিছু না। মনের ইচ্ছা থাকলে খুব সহজেই আপনি নেতিবাচক দিকগুলোকে বাদ দিয়ে ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হতে পারেন। আর যখনই আপনি আপনার কাজে ইতিবাচক হবেন, তখনই আপনার কাছে সাফল্য এসে ধরা দিবে।
https://www.success.com/article/9-ways-to-say-no-to-negativity